প্রকাশ সিনহা, কলকাতা : সাতসকালে কলকাতা, হাওড়া-সহ ৩টি জায়গায় ইডি তল্লাশি। ৬ হাজার কোটি টাকার ব্যাঙ্ক প্রতারণা মামলায় ইডি-র তল্লাশি। হাওড়ায় ব্যবসায়ী দীপক জৈনের বাড়িতে ইডি আধিকারিকরা। দীপকের সংস্থার মাধ্যমে টাকা পাচার হয়েছে, দাবি ইডি-র। এই মামলায় আগেই শিল্পপতি সঞ্জয় সুরেকাকে গ্রেফতার করেছে ইডি।
৬ হাজার কোটি টাকার ব্যাঙ্ক প্রতারণার একটা অভিযোগ ছিল। এবং সেই টাকা কোথায় গেল, সেই খোঁজ যখন ইডি আধিকারিকরা নিতে যান, তখন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার কাছে একাধিক সংস্থার নাম সামনে আসে। এবং সেই কোম্পানিগুলির একটি কোম্পানির ডিরেক্টর হচ্ছেন দীপক জৈন।এদিকে এদিন সাতসকালে ইডির তল্লাশির খবর পেয়ে বাইরে বেরিয়ে এসেছেন প্রতিবেশীরা।
সাংবাদিক: দাদা, এই দীপক জৈন, আপনার প্রতিবেশী। উনি কী করেন ?
প্রতিবেশী: কোনও একটা কোম্পানিতে চাকরি করেন।
সাংবাদিক: ইডি বলছে, তিনি একটা কোম্পানির ডিরেক্টটর..
প্রতিবেশী: জানা নেই। হতে পারে..
অর্থাৎ প্রতিবেশীরা জানেন যে, দীপক জৈন চাকরি করেন। কিন্তু ইডি তরফে বলা হয়েছে, তিনি একটি কোম্পানির ডিরেক্টর। আর এখানেই আসছে প্রশ্ন। তাহলে কি কোনও ভুয়ো কোম্পানি খোলা হয়েছিল ? এবং চাকরির নামে তাঁকে ডিরেক্টর বানিয়ে দেওয়া হয়েছিল ?
গত বছরের শেষে এই অভিযোগ পেয়ে প্রায় ১৮ ঘণ্টা একযোগে বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি চালানোর পর ব্যাঙ্ক প্রতারণা মামলায় ইডি-র হাতে গ্রেফতার হয়েছিলেন কনকাস্ট স্টিল অ্যান্ড পাওয়ার লিমিটেডের কর্ণধার সঞ্জয় সুরেকা। সেবার সকাল সাড়ে ৭টা থেকে কলকাতা, শহরতলি এবং জেলায় ১০টি জায়গায় একযোগে অভিযান চালিয়েছিল ইডি। তল্লাশি অভিযান চালানো হয়েছিল আরও কয়েকজন ব্যবসায়ীর বাড়িতে। গভীর রাতে ইডি গ্রেফতার করেছিল সঞ্জয় সুরেকাকে। কেন্দ্রীয় এজেন্সির দাবি, শিল্পপতির বাড়ি থেকে উদ্ধার হয়েছিল সাড়ে চার কোটি টাকার সোনার গয়না। ED-সূত্রে দাবি ছিল, বাজেয়াপ্ত করা হয়েছিল একাধিক বিদেশি গাড়ি।